Thursday, February 24, 2011

আশ্চর্য লাদাখ

আমি বরাবই মনে করি যে পাহাড়ে যাওয়ার আনন্দই  আলাদা.  আর সেই পাহাড় যদি উছু বরফে ঢাকা হিমালয় হই তাহলে তো কোনো কথায় নেই. দু বছর আগে শিমলা আর মানালি ঘর পর এবার ঠিক করলাম লাদাখ তা ঘুরে আসি. অনেক দিন ধরেই ভাবা হচ্ছে যাওয়ার জন্য কিন্তু হয়ে উঠছিল না. অবশেষে ৩ ইদীয়ট্স ছবি দেখবার পর আর নিজেকে ধরে রাখতে পারলাম না আমরা. অথচ আমাদের দুজনেরই ছুটি নেওয়া মুশকিল. সব ভেবে ঠিক হলো যে ৪ দিনের জন্য যাব হবে. যারা লাদাখ গেছে তারা তো আমাদের এই প্ল্যান শুনে একেবারে আমাদের ক্রিমিনালের দরজা দিয়ে দিল. লাদাখের মত জায়গায় যে কেউ ৪ দিনের জন্য যেতে পারে এটা ভাবাই মুশকিল.
যাই হোক দেখা গেল মোট ৬ দিন হবে প্লানে করে পুরো রাস্তা গেলে আর তার মধ্যে ৪ দিন পুরো লাদাখে পাওয়া যাবে. দিল্লি-লেহ প্লেনের টিকিটের অনেক দাম কিন্তু ভাবলাম সেই সব ভাবলে যাওয়া টা  ভেস্তে যাবে. 
আমাদের যাওয়া ঠিক হলো মঙ্গলবার ২০  তারিখ. আমি ছুটি নিয়েছিলাম কিন্তু অসমী নিতে পারেনি. তাই আমরা সন্ধে বেলা একেবারে আইর্পর্ট এ মিট করলাম. সাড়ে ছটার সময় আমাদের কিংফিশার  ফ্লাইট  দিল্লির দিকে রওনা হয়ে গেল. দিল্লি পৌছলাম সাড়ে আটটা নাগাদ. অত্রি (আসমীর দাদা) এসেছিল আইর্পর্তে  আমাদের রিসিভ  করতে. আইর্পর্ট থেকেই আমরা সোজা খাওয়ার জায়গায় চলে গেলাম. সেখানে অম্রিতা আমাদের জন্য টেবিল বুক করে অপেক্ষা করছিল. সন্ধেটা খেয়ে আর আড্ডা মেরে কেটে গেল.